সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান!

 হাজীগঞ্জে সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের মালামাল। আর নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার না করতে বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। এতে কাল হলো সড়কটির। বাঁধা দেয়ার পর থেকেই কাজ বন্ধ রেখে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সড়কটির কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।

সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান!


আসছে বর্ষার পূর্বে সড়কটির কাজ শেষ না হলে মহাবিপদে পড়বেন স্থানীয় জনগণ। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের কংগাইশ রেল লাইন ভায়া হাড়িয়াইন সড়কটির। দীর্ঘ ৪ মাস এ সড়কের কাজ বন্ধ রাখেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আব্দুল কাদের।

জানা যায়, ২০১৯-২০২০ সালের অর্থ বছরের বাজেটে কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে সড়কটি নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় (এলজিইডি) একনেকে পাশ করে। পরে এলজিইডি প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেন।

কংগাইশ-হাড়িয়াইন ১ কিলোমিটার সড়কের কাজ করতে ঠিকাদার নিযুক্ত হন হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের আব্দুল কাদের। এ কাজটি শুরুর কথা ছিলো গেলো বছরের ১ জানুয়ারি। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেন ২০২০ সালের শেষে। তিনি দেরি করে সড়কের কাজ শুরু করলেও, কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক পর্যায়ে নি¤œমানের ইট (খোয়া) সড়কটির কাজে ব্যবহার করতে চাইলে বাঁধা দেন স্থানীয় লোকজন।

নি¤œমানের কাজে বাঁধা দেয়ার পরের দিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের নির্মাণ কাজে আর হাত দেয়নি। তারা দীর্ঘ ৪ মাস কাজটি ফেলে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চলাচলকারীরা। বর্ষার শুরু হওয়ার পূর্বে সড়কটির কাজ শেষ না হলে মহাবিপদে পড়বে বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক প্রকাশ হেলুসহ আরো অনেকে।

তিনি বলেন, প্রায় ৪ মাস কাজ বন্ধ রয়েছে। সড়কে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার হচ্ছে। এ জন্য এলাকাবাসী কাজে বাঁধা দিয়েছেন। ঠিকাদার নি¤œমান খোয়া না সরিয়ে তিনি কাজ বন্ধ রেখেছেন। এতে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষার পূর্বে কাজ শেষ না হলে, আরো বিপদে পড়বে চলাচলকারী মানুষজন। অতিদ্রæত কাজটি শেষ করার জন্য কর্মকর্তাদের বিষয়টি আমরা অবহিত করেছি।

এ প্রসঙ্গে কাজের ঠিকাদার আব্দুল কাদেরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে কাজ চালু করতে পারেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খোয়া গুলো সরিয়ে ফেলবো এবং ১০/১২ দিন পরে সড়কের কাজটি চালু করবো।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহেদ জানান, নি¤œমান মালামাল সরিয়ে পুনরায় কাজ চালু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন আগামী সোমবারের মধ্যে নি¤œমান খোয়া সরিয়ে সড়কটির কাজ চালু করবেন। তার দেয়া সময় মতো কাজ শুরু না করলে ঠিকাদারের কাজ বাতিল করা হবে।


Hi, I'm Mohammed Gulam Rabbi from Bangladesh.My vision is to bring positive changes in the society through my creative ideas and design thinking.
NextGen Digital... Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...